৪০গ্রাম-Sandalwood Wood Sticks
-
- স্টক শেষ হওয়ার আগেই অর্ডার করুন!
- প্রোডাক্ট হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধ করুন!
ভারতীয় ও সামুদ্রিক এলাকার চন্দন কাঠের ধোঁয়ার) সাহায্যে নাকে ঔষধ টেনে নেয়া।দুষ্ট জ্বীন ও শয়তানগুলোকে দূর করে দেয়।
مِثْلُ الْكَافُورِ وَالْقَافُورِ مِثْلُ كُشِطَتْ وَقُشِطَتْ نُزِعَتْ وَقَرَأَ عَبْدُ اللهِ قُشِطَتْ.
الْقُسْطِ কে كُسْتُ ও বলা হয়। যেমন كَافُورِ ও قَافُورِ বলা যায়। অনুরূপভাবে كُشِطَتْ কে قُشِطَتْ পড়া যায়। قُشِطَتْ এর অর্থ হল نُزِعَتْ ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ قُشِطَتْ পড়েছেন।
৫৬৯২. উম্মু কায়স বিনত মিহসান হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা ভারতীয় এই চন্দন কাঠ ব্যবহার করবে। কেননা তাতে সাতটি আরোগ্য রয়েছে। শ্বাসনালীর ব্যথার জন্য এর (ধোঁয়া) নাক দিয়ে টেনে নেয়া যায়, পাঁজরের ব্যথা বা পক্ষাঘাত রোগ দূর করার জন্যও তা ব্যবহার করা যায়। [৫৭১৩, ৫৭১৫, ৫৭১৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৭৭)
হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- ইস্তিঞ্জার পর ঢিলা নিতে হয় বেজোড়, জামারায় পাথর মারা হয় বেজোড়, ছাফা-মারওয়ায় সা‘ঈ করতে হয় বেজোড় এবং তাওয়াফ করতে হয় বেজোড়। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি সুগন্ধির ধোঁয়া গ্রহণ করে সেও যেন বেজোড় লাগায়। (মুসলিম শরীফ , পবিত্র হাদীছ শরীফ - ১৩০০, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ - ৯৩২১, ছহীহ আল জামি‘ শরীফ , পবিত্র হাদীছ শরীফ - ২৭৭২)
ঘরে চন্দন কাঠ পোড়ানো এবং ধূপ জ্বালানোঃ
ঘরে ধূপ জ্বালানোর ব্যাপারে আমাদের জন্যে ইমাম মাছূম আলাইহিস সালাম উনার কাছ থেকে পরামর্শ এসেছে। কেননা, ধূপের প্রতিটি দানা জ্বালানোর ফলে একটি করে হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম মুক্ত হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার ছানা-ছিফত এবং আমাদের গৃহাভ্যন্তরে ইতিবাচক শক্তি সৃষ্টি করেন। আর তা দুষ্ট জ্বীন ও শয়তানগুলোকে দূর করে দেয়।
ধূপের ব্যবহার সম্পর্কে ইমামুস সাদিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন-
وقَد سُئِلَ عَنِ الحَرمَلِ وَاللُّبانِ فَقالَ: أمَّا الحَرمَلُ فَما يُقَلقَلُ لَهُ عِرقٌ فِي الأَرضِ ولا فَرعٌ فِي السَّماءِ، إلاّ وُكِّلَ بِهِ مَلَكٌ حَتّى يَصيرَ حُطاما ويَصيرَ إلَى ما صارَت؛ فَإِنَّ الشَّيطانَ لَيَتَنَكَّبُ سَبعينَ دارا دونَ الدّارِ الَّتي هُوَ فيها، وهُوَ شِفاءٌ مِن سَبعينَ داءً أهوَنُهُ الجُذامُ، فَلا تَغفُلوا عَنهُ.
অর্থাৎ “ধূপের দানার কোন শিকড় মাটির নিচে যায় না এবং এর কোন ডাল আসমানের দিকে উঠে না, যতক্ষণ পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক তিনি একজন হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম উনাকে এর উপর নিয়োগ না করেন। আর এটা ঐ সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে যতক্ষন পর্যন্ত তা শুষ্ক না হয়ে যায় অথবা অন্য কোন পরিবর্তন না ঘটে। যে ঘরে ধূপের দানা ব্যবহার হয় শয়তান সেই ঘর থেকে সত্তর ঘর পর্যন্ত দূরে সরে যায়। এই ধূপ সত্তরটি রোগ আরোগ্য করে। এর সবচেয়ে ছোট রোগটি হচ্ছে কুষ্ঠ রোগ। অতএব, এ বিষয় থেকে অসচেতন থেকো না।” (তিব্বুল আয়িম্মা লি ইবনি বুস্তাম, মাকারিমুল আখলাক্ব, বিহারুল আনওয়ার)
তাছাড়া এই ধূপ জ্বালানোর কারণে বদ নজর থেকে মুক্ত থাকা যায়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানও এর বিভিন্ন প্রভাব ও উপকার উল্লেখ করেছে। দৃষ্টান্তস্বরূপ বিজ্ঞান বসবাসের পরিবেশ থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করা এবং সেই পরিবেশকে বিভিন্ন প্রকার রোগ জীবানু থেকে মুক্ত রাখার ব্যাপারে ধূপ জ্বালানোর কথা বলেছে।
এ ছাড়াও ধূপের কিছু গুনাগুন হলোঃ-
১. ধূপ সত্তরটি রোগ থেকে আরোগ্য করে।
২. বিশেষ করে কুষ্ঠ রোগ হতে আরোগ্য লাভ করে।
৩. ধূপ প্রাকৃতিক সুগন্ধি।
৪. জীবাণু হতে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।